ফলোঅন এড়ানো দূরে থাক, দুই ইনিংস মিলিয়ে ২০০ রান করতেই হিমশিম খেতে হলো বাংলাদেশকে। প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হকের ফিফটিতে টেনেটুনে ১৫৯ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে আরও খারাপ অবস্থা—১৪৩ রানে অলআউট। চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনেই বাংলাদেশ হেরেছে ইনিংস ও ২৭৩ রানে।
পাকিস্তানকে ধবলধোলাইয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে ভারত সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ভারতে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বিন্দুমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। বাজেভাবে হেরে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের কাছে ভরাডুবির পর শান্ত কাঠগড়ায় তুললেন বাংলাদেশের ব্যাটারদের।
বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ বনাম ভারতের কানপুর টেস্টের প্রথম দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ৩৫ ওভার। এরপর গত দুই দিনে হয়নি একটি বলও। আজ রোদ উঠেছে। হয়েছে খেলাও। হয়েছে রেকর্ডের পর রেকর্ড। পুরো দিনে খেলা হয়েছে ৮৫ ওভার। দুই দল মোট ১৮ উইকেট হারিয়ে করেছে মোট ৪৩৭ রান। ছয় মেরেছে ১২টি। এমন রোমাঞ্চকর দিনে কী কী রেকর্ড হলো,
কানপুরে এখন কী চলছে? টি-টোয়েন্টি নাকি টি-টেন—এই প্রশ্নটা অনেকের কাছে অদ্ভুতুড়ে মনে হতে পারে। কারণ, গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে তো সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলছে বাংলাদেশ-ভারত। কিন্তু যাঁরা টিভিতে খেলা দেখছেন, তাঁরা বুঝেছেন সাদা পোশাকে ভারতীয় ব্যাটাররা বাংলাদেশের বোলারদের ওপর কীভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছেন। ওলটপালট
কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে থেকেই আলোচনা। হিন্দু মহাসভার হামলার হুমকি, মাঠের বিপজ্জনক অবস্থা—আরও কত কী! ম্যাচ শুরুর পর থেকে গণহারে সমালোচনা হচ্ছে কানপুরের এই ভেন্যু নিয়ে।
আমার বলার কিছু ছিল না, চেয়ে চেয়ে দেখলাম তুমি চলে গেলে—কানপুরে আজ বাংলাদেশ-ভারত টেস্টের চতুর্থ দিনে মুমিনুল হক হয়তো হৈমন্তী শুক্লার গানটাই গাইছিলেন। একটা প্রান্ত আগলে রাখলেও অপরপ্রান্তে ব্যাটাররা খেই হারালেন। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা বাংলাদেশ করতে পারল না ২৫০ রানও।
লাঞ্চের আগেই সেঞ্চুরিটা হবে তো? হলে তৃপ্তি নিয়ে লাঞ্চ করা যাবে, নাহলে টেনশন নিয়ে বিরতিতে যেতে হবে ৷ মুমিনুল হকের সামনে সমীকরণ যেন ‘টেস্টি লাঞ্চ বনাম টেনশনের লাঞ্চ’!
থিতু হয়ে উইকেট ছুড়ে আসার রোগ তো বাংলাদেশের বহু পুরোনো। সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম থেকে শুরু করে লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত—ম্যাচের পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, বাজে শট খেলে উইকেট উপহার দিয়ে আসেন। কানপুরে আজ দলকে বিপদে ফেলে উইকেট দিয়ে এলেন সাকিব ও লিটন। দলও পড়েছে বিপদে।
কানপুর টেস্টে শুক্রবার ম্যাচের প্রথমদিন থেকেই ছিল বৃষ্টির বাগড়া। বৃষ্টি ও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে একটা বলও মাঠে গড়াতে পারেনি। তিন দিনের ৯ সেশনের প্রায় ৮ সেশন হয়েছে বাতিল। তবে আজ চতুর্থ দিন রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে খেলা মাঠে গড়িয়েছে। ম্যাচ অফিশিয়ালরা জানিয়েছেন,
কানপুরে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হলেও সেটা ঠিকমতো চলতেই পারছে না। বৃষ্টির বাগড়া, আউটফিল্ডের সমস্যাসহ বিভিন্ন ঝামেলা চলছে গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে। এই টেস্ট শেষ হওয়ার আগেই সুখবর পেল বাংলাদেশ।
আগস্টে পাকিস্তান সফর সামনে রেখে চট্টগ্রামে টাইগার্স ও এইচপি স্কোয়াডে ভাগ হয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল মুমিনুল-তাইজুলদের। হঠাৎ কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশ হয়ে ওঠে উত্তাল। পরিস্থিতি সামলাতে জারি করা হয় কারফিউ। চট্টগ্রামে হোটেলবন্দী সময়টা কেমন কেটেছে, সামনে চারটি টেস্ট সিরিজ, নিজের প্রস্তুতি—এসব নিয়ে গত
সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষেক হয়েছে হাসান মাহমুদের। অভিষেক টেস্টে দলের পরাজয় দেখলেও বোলিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন হাসান। প্রথম ইনিংসের ২ উইকেটের বিপরীতে দ্বিতীয় ইনিংসে পেয়েছেন ৪ উইকেট।
যতটা একপেশে ম্যাচ হওয়া সম্ভব, সিলেটে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্টে তা-ই দেখা গেল। ৩২৮ রানে হেরে সিরিজে এরই মধ্যে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর মতে এখনো অনেক জায়গায় উন্নতি করতে হবে।
চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরু হওয়ার কিছুদিন আগে থেকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরের আউটারে নিয়মিত অনুশীলন করেছেন মুমিনুল হক। সেটি আবার বিপিএলে দল পাওয়া ক্রিকেটারদের সঙ্গেই। তখনো কোনো দল আগ্রহ দেখায়নি মুমিনুলকে নিয়ে।
বিপিএলের ড্রাফটে থাকলেও কোনো দলই মুমিনুল হককে কিনতে আগ্রহ দেখায়নি। এত করে টানা দুই সংস্করণ তাঁর না থাকার সম্ভাবনাই জেগেছিল। তবে গতকাল টুর্নামেন্টের মাঝপথে এসে তাঁকে দলে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স।
নিউজিল্যান্ড-সিরিজে সিলেট টেস্টের উইকেট নিয়ে যতটা প্রশংসা হয়েছে, ততটাই সমালোচিত মিরপুরের উইকেট। নিজেদের ফাঁদে পড়ে টেস্ট হেরেছে বাংলাদেশ। এ ধরনের উইকেটে সবচেয়ে ভুক্তভোগী ব্যাটাররা। যত সমালোচনাই হোক, দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর মতো মুমিনুল হকও দেশে টেস্ট জিততে এ ধরনের উইকেটেরই পক্ষে। মুমিনুলের সা
সিলেট টেস্ট শুরুর আগে মিরপুরে নিজেদের প্রস্তুত করছিল বাংলাদেশ দল। তেমনি একটি অনুশীলন শেষে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে হঠাৎ দাঁড়িয়ে বিসিবির কার্যালয়ের দিকে স্যালুট দিতে দেখা যায় মুমিনুল হককে। সাবেক টেস্ট অধিনায়কের স্যালুটটি ছিল জানালার ফাঁক দিয়ে কথা বলা খালেদ মাহমুদ সুজনকে উদ্দেশ্য করে।